Photography র চাহিদা দিন দিন বেড়ই চলছে। কোন এক সময় যখন এটি ছিল একটি সখের বিষয়। কিন্তু বর্তমানে প্রফেশন ভাবে এই ফটোগ্রাফিকে বেছে নেওয়া যায়। বর্তমানে আপনি অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে ফটোগ্রাফি বিজনেস শুরু করতে পারেন। দিনকে দিন ফটোগ্রাফির চাহিদা বেড়েই চলছে। এখন একজন Wedding Photographer এর মাসিক ইনকাম একজন সরকারি চাকরিজীবী তুলনায় দ্বিগুণ।

অন্যসব ব্যবসার ক্ষেত্রে যেখানে আপনাকে 10 থেকে 20 লাখ টাকার মতো ইনভেস্ট করা লাগে সেখানে আপনি মাত্র দুই থেকে তিন লাখ টাকা ইনভেস্ট করে ভালো একটি ক্যামেরা সেটআপ করতে পারবেন।
সবচেয়ে ফটোগ্রাফির একটি মজার দিক হলো আপনি যে প্রগ্রামে ফটোশুট করতে যাবেন সেখানকার লোকজন আপনাকে হিরো মনে করবে।
আরও পড়ুনঃবাংলাদেশে ক্যানন ক্যামেরার দাম ২০২৩ । পুরাতন ক্যানন ক্যামেরার দাম ২০২৩
ফটোগ্রাফি করতে যে আপনাকে 3-4 লাখ টাকা খরচ করতে হবে এমন কোন কথা না। কারণ আপনি চাইলে আরো কম মূল্যের ক্যামেরার সেটআপ দিয়ে ফটোগ্রাফি করতে পারেন। তবে সবচেয়ে প্রধান বিষয় হচ্ছে আপনি কোন Brand এর ক্যামেরা কিনবেন। কারণ বর্তমান বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের ক্যামেরা পাওয়া যায় যেমন Canon,Nikon,Sony সহ আরো অনেক ব্রান্ড।
আপনার বাজেট যদি কম হয় সে ক্ষেত্রে আপনি ক্যানন ক্যামেরার দিকে যেতে পারেন। দামে কম মানে ভালো এরই নাম হচ্ছে কেনন ব্যান্ড। আপনার বাজেট কম হলে Canon 700D ক্যামেরা দিয়ে শুরু করতে পারেন। এর বর্তমান বাজার মূল্য হচ্ছে ২৫০০০-৩০০০০ টাকার মত।
আর আপনার বাজেট যদি বেশি হয় আমি বলব আপনি Sony ক্যামেরার দিকে যেতে পারেন। কারণ Sony ক্যামেরা গুলোর সম্পূর্ণ প্রফেশনাল হয়ে থাকে।
নিকন ক্যামেরাও কম না কারণ অনেক প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার নিকন ক্যামেরা ব্যবহার করেন। কারণ নিকন ক্যামেরা ইনবিল্ট অবস্থা অনেকগুলা ইফেক্ট পাবেন যেগুলো অন্যসব কোন ক্যামেরায় নেই।

এখন কথা হচ্ছে আপনার বাজেট তো কম তাহলে আপনি কোন ক্যামেরায় যাবেন।আপনার বাজেট যদি কম হয় আপনি ক্যানন ক্যামেরার দিকে যেতে পারেন
আপনি মাত্র ৪০থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি একটি ক্যামেরা সেটআপ করতে পারবেন। যা দিয়ে আপনি অনায়াসে ফটোগ্রাফি করতে পারবেন।
এখন আসি লেন্স এর ব্যাপারে আপনি যখন ক্যামেরা কিনবেন ক্যামেরা যতই ভালো হোক না কেন আপনার যদি ভালো লেন্স না থাকে, আপনি ভালভাবে ফটোগ্রাফি করতে ই পারবেন না। লেন্সের কথা বলতে গেলে শুরুতেই আমাদের মাথায় আসে জুম লেন্স। কিন্তু কথা এটা না কথা হচ্ছে আপনার কোন লেন্স টা কিনবেন । জুম লেন্স নাকি প্রাইম লেন্স।
জুম লেন্স কেন ব্যবহার করবেন? জুম লেন্স মূলত দূরের কোনো কিছু ক্যাপচার করার জন্য কাজে আসে অর্থাৎ আপনি এটা দিয়ে দূর থেকে আপনি ফটো তুলতে পারবেন। এক কথায় এটা কি আপনি দূর থেকে ফটোগ্রাফি করতে পারবেন। এই লেন্সের disadvantage হল এই লেন্স দিয়ে আপনি indoor shoot করতে পারবেন না। অর্থাৎ বিয়ের প্রোগ্রাম বা ঘরোয়া কোন প্রোগ্রামে আপনি এই লেন্স ব্যবহার করতে পারবে না।
এখন আসি প্রাইম লেন্স নিয়ে, প্রাইম লেন্স এর মধ্যে 50 m.m Prime Lens অন্যতম। যার বাজেট অনেক কম তারা এই লেন্সটা নিতে পারে। আপনার সব ধরনের শুট এটি ব্যবহার করতে পারবেন
