ই-পাসপোর্ট কি ?ই-পাসপোর্টের আবেদন করবেন যেভাবে?

Rules and cost of e-passport, required documents, how to submit passport fee and apply for e-passport online.

আবেদন করতে হলে প্রথমে www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। ওয়েবসাইটে ঢুকে Directly to online application ক্লিক করতে হবে।পরবর্তী ধাপে আপনাকে এমন একটি মেইল দিতে হবে,যেটি আপনি সব সময় ব্যবহার করেন। এই ধাপে আপনাকে আপনার বাক্তিগত তথ্য সঠিক ভাবে ফিল করতে হবে।অবশ্যই কোথাও যেন কোন রকপম ভুল না হয়।আপনার নাম, তথ্য ও জাতীয় পরিচয়পত্র বা নম্বর দিন এবং Save and Continue তে ক্লিক করুন।


তবে অনেকের অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কোনটি প্রয়োজন?
আপনার বয়স ১৮ বছরের কম হয়ে থাকলে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে আপনি অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন।১৮-২০ বছরের মধ্যে বয়স হলে, আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন (BRC) উভয়টির যে কোন একটি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।

আপনার যদি আগে থেকে কোন পাসপোর্ট না থাকে তাহলে No, I don’t have any previous/ handwritten passport ক্লিক করে দিবেন।আপনার পিতা মাতার নাম তাদের জাতীয় পত্র অনুসারে লিখুন। আপনার স্বামী বা স্ত্রীর নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে লিখুন।জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য আপনার পরিবারের বাবা, ভাই বা অন্য কারো নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিন।এবার আপনার পাসপোর্টের ধরন, পাতা ও ডেলিভারী সাধারণ বা জরুরী বাছাই করুন।সবশেষে আপনার সব তথ্য পূনরায় যাচাই করে আবেদন জমা দিতে Submit বাটনে ক্লিক করুন।

কীভাবে ই পাসপোর্ট ফি প্রদান ও আবেদন প্রিন্ট

আপনি চাইলে খুবে সহজ এ বিকাশ দিয়ে টাকা জমা দিতে পারবেন।

আবেদন করা হলে প্রিন্ট করার জন্য আপনি ২টি পৃষ্ঠা পাবেন।

1) Application Summery

2) Online Registration Form

এগুলো আপনি প্রিন্ট করে নিতে পারেন বা পিডিএফ ফাইল হিসেবে আপনার কম্পিউটারে সেইভ করতে পারেন।Application summery টি ১ পৃষ্ঠা ও Online Registration form টি উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করবেন।

ই-পাসপোর্ট জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য

  • বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে
  • ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত ই-পাসপোর্টের মূল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে
  • মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে পেমেন্ট করা যাবে।
  • অধিদফতরের অনুমোদিত পাঁচ ব্যাংকের যে কোনো একটিতে টাকা জমা দিয়ে সেই জমা স্লিপের নম্বর এখানে দিতে হবে। এরপর ফাইল সাবমিট করতে হবে। এর ফলে আপনার তথ্যগুলো পাসপোর্টের কার্যালয়ের সার্ভারে চলে যাবে।
  • জাতীয় পরিচয়পত্রসহ (এনআইডি) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।
  • ই-পাসপোর্ট প্রস্তুতের পর আবেদনকারীকে জানানো হবে৷ আবেদনকারী নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হয়ে ই-পাসপোর্ট গ্রহণ করবেন।
সারসংক্ষেপ এ যা যা লাগবে

১.জাতীয় পরিচয়পত্র/ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
২.ঠিকানার প্রমাণপত্র/ ইউটিলিটি বিলের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
৩.পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি ও অরিজিনাল পাসপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
৪.পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (শিশুদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক)
৫.পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকুরীর আইডি কার্ড (পেশাজীবির ক্ষেত্রে- যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক, আইনজীবি)
৬.নাগরিক সনদ/ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

ই-পাসপোর্টের সুবিধা

ই-পাসপোর্টের এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন।এর মাধ্যমেই ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না।

ই-পাসপোর্টের মেয়াদ, বিতরণের সময় ও ফি

 ৪৮ পৃষ্ঠা ৫ বছরের জন্য সাধারণ ফি (১৫ দিন) সাড়ে তিন হাজার টাকা, জরুরি (৭ দিন) সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা এবং অতি জরুরি (২ দিন) সাড়ে সাত হাজার টাকা। 

১০ বছরের জন্য সাধারণ (১৫ দিন) ফি পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি (৭ দিন) সাত হাজার টাকা এবং অতি জরুরি (২ দিন) নয় হাজার টাকা।

৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছরের সাধারণ (১৫ দিন) ফি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি (৭ দিন) সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং অতি জরুরি (২ দিন) সাড়ে ১০ হাজার টাকা।

১০ বছরের জন্য সাধারণ (১৫ দিন) সাত হাজার টাকা, জরুরি (৭ দিন) নয় হাজার টাকা এবং অতি জরুরি (২দিন) ১২ হাজার টাকা।

তবে সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ হবে জানান কর্মকর্তারা

কীভাবে পাওয়া যাবে ই-পাসপোর্ট

ই -পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে অথবা পিডিএফ ফরমেট ডাউনলোড করে পূরণ করা যাবে। এতে কোনো ছবি এবং কোনো ধরনের কাগজপত্র সত্যায়নের প্রয়োজন নেই। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রসহ বাবা-মায়ের এনআইডির কপি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবেদনপত্র গ্রহণের সময় হাতের ১০ আঙুলের ছাপ, ছবি ও চোখের আইরিশ ফিচার নেওয়া হবে।

ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম pdf,ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম,ই পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায়,পাসপোর্ট আবেদন ফরম ডাউনলোড পিডিএফ,ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২১,ই পাসপোর্ট ফি কত ২০২১,ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে,১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট

Leave a Comment